অর্ধ শতাব্দী পর চাঁদের বুকে যুক্তরাষ্ট্র
- আপডেট সময় : ০৪:০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২৮ বার পড়া হয়েছে
‘ওডি’ বা ‘আইএম-১’ ডাকনামের রোবটটিকে চাঁদে মাটিতে স্থাপনে কয়েক মিনিট সময় লাগলেও কিছুক্ষণ পরই সেটি ইনটিউটিভ মেশিনসের নিয়ন্ত্রণকক্ষে সংকেত পাঠাতে শুরু করে।
হিউস্টনভিত্তিক ইনটিউটিভ মেশিনস নামের প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাণিজ্যিক রোবট ‘ওডিসিয়াস’ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে।
আর এর মধ্যে দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের বেশি সময়ের অনুপস্থিতির অবসান ঘটল।
১৯৭২ সালে অ্যাপোলো-১৭ মিশন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ চন্দ্রাভিযান।
সিএনএন জানিয়েছে, ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মানুষবিহীন মহাকাশযানটি চাঁদের উপরিভাগে পৌঁছায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
সিএননসহ যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ‘ওডি’ বা ‘আইএম-১’ ডাকনামের রোবটটিকে চাঁদে মাটিতে স্থাপনে কয়েক মিনিট সময় লাগলেও কিছুক্ষণ পর থেকেই সেটি ইনটিউটিভ মেশিনসের নিয়ন্ত্রণকক্ষে সংকেত পাঠাতে শুরু করে।
প্রতিষ্ঠানটির ফ্লাইট ডিরেক্টর টিম ক্রেইন এরই ঘোষণা দেন, “সন্দেহাতীতভাবে এখন আমরা নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের যন্ত্রটি চাঁদের পিঠে পৌঁছেছে এবং আমরা সংকেত পাঠাতে পারছি।”
তার এই ঘোষণার পরপরই উল্লসিত ইনটিউটিভ মেশিনসের কর্মীরা হাততালি দিয়ে ওঠেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার জন্য এই অভিযানটি গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদে গবেষণা চালাতে ছয়টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র স্থাপনের জন্য ওডিসিয়াসে জায়গা কিনেছিল নাসা।
‘ওডিসিয়াস’ চাঁদে অবতরণের পরপরই নাসার প্রশাসক বিল নেলসন ইনটিউটিভ মিশনসকে অভিনন্দন জানিয়ে এ ঘটনাকে ‘বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
“চাঁদে ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এই অভিযান শুরু এবং নেতৃত্ব দিয়েছে। আজ সেই দিন, যা নাসার শক্তি এবং বাণিজ্যিক অংশীদারত্বের প্রমাণ দেয়,” বলেন নেলসন।
বিবিসি জানিয়েছে, ‘ওডি’র চন্দ্রাভিযানের শুরুটা প্রায় নিরবচ্ছিন্ন হলেও এক পর্যায়ে কিছু কারিগরি সমস্যা তৈরি হওয়ায় অভিযান থামিয়ে দেওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছিল।
‘ওডিসিয়াসের’ উচ্চতা এবং গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের রেজারগুলো ঠিকমত কাজ করছিল না। তবে সৌভাগ্যবশত, নাসার কিছু পরীক্ষামূলক লেজার থাকায় ইনটিউটিভের প্রকৌশলীরা সেগুলোকে ব্যবহার করতে পেরেছিলেন।
প্রথম দিকে রোবটটি থেকে কোনো সংকেত পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন নিয়ন্ত্রণকক্ষের প্রচণ্ড স্নায়ুরচাপে পড়েন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ক্ষীণ একটি সংকেত মেলে।
আর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই ‘ওডিসিয়াস’ ছবি এবং তথ্য পাঠাতে শুরু করে।