ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজা সংকটে দায়ী পশ্চিমারা, বিশ্বে বিশৃঙ্খলা দরকার যুক্তরাষ্ট্রের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৯৮ বার পড়া হয়েছে
NEWS396 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংকটের পেছনে পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী একের পর এক বিশৃঙ্খলা দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। মূলত টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল গাজায় বোমাবর্ষণ করে চলেছে এবং এতে করে অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডটিতে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের জন্য পশ্চিমকে দায়ী করেছেন। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য, সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানদের বৈঠকে দেওয়া ভাষণে তিনি এই অভিযোগ করেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘মার্কিন অভিজাত শাসক ও তাদের ‘স্যাটেলাইট’ গাজার ফিলিস্তিনিদের হত্যার পেছনে এবং ইউক্রেন, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার সংঘাতের পেছনে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমাগত বিশৃঙ্খলার প্রয়োজন। তাই (যুক্তরাষ্ট্র) সেই সব দেশকে অপমান করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যারা গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জোর দেয় এবং একইসঙ্গে রক্তপাত বন্ধ করতে ও সংকট সমাধানে সত্যিকারের অবদান রাখতে প্রস্তুত।’

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাশিয়া গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টিকে সমর্থন করে এসেছে। এছাড়া মস্কোতে হামাসের প্রতিনিধিদলকেও স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও মস্কোর এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল।

রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষীদের নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার কথা বলে দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। পুতিন বলছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের জন্য দায়ী ছায়াময় মার্কিন বাহিনীর সাথে লড়াই করছে রাশিয়া।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘সংঘাত সমাধানের মূল চাবিকাঠি হলো একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যদিও এটি ওয়াশিংটনের ঘোষিত কোনও লক্ষ্য নয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাজা সংকটে দায়ী পশ্চিমারা, বিশ্বে বিশৃঙ্খলা দরকার যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ১১:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংকটের পেছনে পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী একের পর এক বিশৃঙ্খলা দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। মূলত টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল গাজায় বোমাবর্ষণ করে চলেছে এবং এতে করে অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডটিতে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের জন্য পশ্চিমকে দায়ী করেছেন। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য, সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানদের বৈঠকে দেওয়া ভাষণে তিনি এই অভিযোগ করেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘মার্কিন অভিজাত শাসক ও তাদের ‘স্যাটেলাইট’ গাজার ফিলিস্তিনিদের হত্যার পেছনে এবং ইউক্রেন, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার সংঘাতের পেছনে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমাগত বিশৃঙ্খলার প্রয়োজন। তাই (যুক্তরাষ্ট্র) সেই সব দেশকে অপমান করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যারা গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জোর দেয় এবং একইসঙ্গে রক্তপাত বন্ধ করতে ও সংকট সমাধানে সত্যিকারের অবদান রাখতে প্রস্তুত।’

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাশিয়া গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টিকে সমর্থন করে এসেছে। এছাড়া মস্কোতে হামাসের প্রতিনিধিদলকেও স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও মস্কোর এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল।

রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষীদের নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার কথা বলে দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। পুতিন বলছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের জন্য দায়ী ছায়াময় মার্কিন বাহিনীর সাথে লড়াই করছে রাশিয়া।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘সংঘাত সমাধানের মূল চাবিকাঠি হলো একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যদিও এটি ওয়াশিংটনের ঘোষিত কোনও লক্ষ্য নয়।’