গ্যাসসংকটে টঙ্গিতে মুড়ি-চিড়ার উৎপাদন ব্যাহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
- আপডেট সময় : ১২:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
টঙ্গী মিলগেট মিতালী চিড়া কল, গাউসিয়া মুড়ির মিল, টঙ্গী বাজার মদিনা মার্কেটের সুলতান ট্রেডার্স, চাচা-ভাতিজা চিড়া-মুড়ি স্টোর, রাশেদ চিড়া-মুড়ি অ্যান্ড গুড় ট্রেডার্স, বরিশাল মুড়ি স্টোর, কুমিল্লা মুড়ি ট্রেডার্স, ফারুক মুড়ি স্টোর, বিল্লাল মুড়ি স্টোর, তানভীর ট্রেডার্সসহ প্রায় ১৬টি মুড়ির আড়ত থেকে ঢাকা, আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টন মুড়ি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা মূল্যবৃদ্ধি ও ভেজাল মুড়ির কারণে ক্রেতারা এখন মুড়ির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে।বরিশালের হাতে ভাজা ‘মুথামুড়ি’ বা ‘ঘিকজ’ মুড়ির পাইকারি দর প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ‘১৬ মুড়ি’ প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকা, মেশিনে তৈরি ‘হাইসুপার’ প্রতি কেজি ৮৪ টাকা ও ‘সুপার’ মুড়ি প্রতি কেজি ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
টঙ্গী বাজারে মুড়ি কিনতে আসা জাকির হোসেন বলেন, ‘বাজারে মুড়ি কম আবার দামও বেশি। তাই মুড়ির পরিবর্তে চিড়া নিলাম।’
টঙ্গী বাজার তানভীর ট্রেডার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রমজানে মুড়ির চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে।তবে এবার মুড়ির চাহিদা অনেকটা কম।’
এদিকে বিভিন্ন কারখানার বিরুদ্ধে মুড়িতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানোর অভিযোগ পাওয়া গেলেও কোনো কারখানার মালিকই বিষয়টি স্বীকার করেন না। মুড়িতে কেন কেমিক্যাল মেশানো হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে গাউসিয়া মুড়ির মিলের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চকচকে ও সাদা করতে মুড়িতে সোডিয়াম হাইড্রো সালফাইড, ইউরিয়া ও কাস্টার্ড পাউডার মেশানো হয়। আমরা চেষ্টা করি কেমিক্যাল ছাড়া মুড়ি উত্পাদন ও বিক্রি করতে।’