ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নামাজে ইউএনওকে কাতার সোজা করতে বলায় চাকরি হারালেন ইমাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে
NEWS396 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লায় মসজিদে জুমার নামাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) কাতার সোজা করতে বলা নিয়ে এক মসজিদের ইমামের চাকরি চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লালমাই উপজেলার ইউএনও মো. ফোরকান এলাহী অনুপমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার উপজেলার পেরুল ইউনিয়ন ভুমি অফিস সংলগ্ন ভাটরা কাছারি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঘটনাটি ঘটে। শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও।

ওই মসজিদের ইমামের নাম মাওলানা আবুল বাশার। তার অভিযোগ, ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও একাধিকবার তাকে পুকুরের পানিতে চুবানোর হুমকি দিয়েছেন।

ইমাম আবুল বাশার বলেন, খুতবা পড়ার শেষ পর্যায়ে প্রথম সারিতে শার্ট-প্যান্ট পরা এক ভদ্রলোক এসে বসেন। ইকামত শেষে নামাজে দাঁড়ানোর সময় মুয়াজ্জিন ওই ভদ্রলোককে একটু সরতে বলেন। না সরায় আমিও ওই ব্যক্তিকে সরতে বলি। পরে জানতে পারি তিনি ইউএনও। নামাজ শেষে আমি মসজিদ থেকে বের হলে (ইউএনও) আমাকে ও মুয়াজ্জিনকে মসজিদের দক্ষিণের সরকারি পুকুরপাড়ে ডেকে নিয়ে যান। তখন ইউএনও স্যার উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘কোনো কথা নেই, তোকে এখন পানিতে চুবামো। তুই কত বড় মাওলানা হয়েছিস, তোর ইন্টারভিউ নিবো।’

পরে ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ ও মেম্বার গোলাপ হোসেনকে মোবাইল ফোনে কল করে দ্রুত পুকুরপাড়ে আসতে বলেন। চেয়ারম্যান-মেম্বার পুকুরপাড়ে আসার পর ইউএনও স্যার আমাকে প্রশ্ন করেন, আমাকে সরতে বললেন কেন?

মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ পারভেজ হোসেন বলেন, ‘আমি ইউএনও স্যারকে চিনতে না পেরে সরতে বলেছিলাম। সে কারণে নামাজের পরে ইউএনও স্যার পুকুর পাড়ে নিয়ে আমাকে ও ইমাম সাহেবকে অনেক প্রশ্ন করেন। উত্তেজিত হয়ে ইমাম সাহেবকে কয়েকবার পানিতে চুবাতে বলেছেন।’

স্থানীয় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ইউএনও স্যার ইমামকে পানিতে চুবাতে বলেছে কি-না আমি শুনিনি। তবে ইমাম মুয়াজ্জিন সঠিক কাজ করে নাই। ইউএনও স্যারকে নামাজের সময় সরতে বাধ্য করেছেন। এটা তারা করতে পারেন না। সেই কারণে আমি কমিটির লোকজনকে বলেছি, ইমামকে বাদ দিতে।’

লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম সমকালকে বলেন, ‘মসজিদের ইমাম উপজেলা থেকে নিয়োগ দেয় না, তাকে আমি বাদ দেওয়ার কে? এছাড়া আমি ইমাম কিংবা মুয়াজ্জিনকে পানিতে চুবাতে বলিনি, এটা অপপ্রচার।’ source : somokal

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নামাজে ইউএনওকে কাতার সোজা করতে বলায় চাকরি হারালেন ইমাম

আপডেট সময় : ০৬:১১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

কুমিল্লায় মসজিদে জুমার নামাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) কাতার সোজা করতে বলা নিয়ে এক মসজিদের ইমামের চাকরি চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লালমাই উপজেলার ইউএনও মো. ফোরকান এলাহী অনুপমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার উপজেলার পেরুল ইউনিয়ন ভুমি অফিস সংলগ্ন ভাটরা কাছারি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঘটনাটি ঘটে। শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও।

ওই মসজিদের ইমামের নাম মাওলানা আবুল বাশার। তার অভিযোগ, ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও একাধিকবার তাকে পুকুরের পানিতে চুবানোর হুমকি দিয়েছেন।

ইমাম আবুল বাশার বলেন, খুতবা পড়ার শেষ পর্যায়ে প্রথম সারিতে শার্ট-প্যান্ট পরা এক ভদ্রলোক এসে বসেন। ইকামত শেষে নামাজে দাঁড়ানোর সময় মুয়াজ্জিন ওই ভদ্রলোককে একটু সরতে বলেন। না সরায় আমিও ওই ব্যক্তিকে সরতে বলি। পরে জানতে পারি তিনি ইউএনও। নামাজ শেষে আমি মসজিদ থেকে বের হলে (ইউএনও) আমাকে ও মুয়াজ্জিনকে মসজিদের দক্ষিণের সরকারি পুকুরপাড়ে ডেকে নিয়ে যান। তখন ইউএনও স্যার উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘কোনো কথা নেই, তোকে এখন পানিতে চুবামো। তুই কত বড় মাওলানা হয়েছিস, তোর ইন্টারভিউ নিবো।’

পরে ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ ও মেম্বার গোলাপ হোসেনকে মোবাইল ফোনে কল করে দ্রুত পুকুরপাড়ে আসতে বলেন। চেয়ারম্যান-মেম্বার পুকুরপাড়ে আসার পর ইউএনও স্যার আমাকে প্রশ্ন করেন, আমাকে সরতে বললেন কেন?

মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ পারভেজ হোসেন বলেন, ‘আমি ইউএনও স্যারকে চিনতে না পেরে সরতে বলেছিলাম। সে কারণে নামাজের পরে ইউএনও স্যার পুকুর পাড়ে নিয়ে আমাকে ও ইমাম সাহেবকে অনেক প্রশ্ন করেন। উত্তেজিত হয়ে ইমাম সাহেবকে কয়েকবার পানিতে চুবাতে বলেছেন।’

স্থানীয় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ইউএনও স্যার ইমামকে পানিতে চুবাতে বলেছে কি-না আমি শুনিনি। তবে ইমাম মুয়াজ্জিন সঠিক কাজ করে নাই। ইউএনও স্যারকে নামাজের সময় সরতে বাধ্য করেছেন। এটা তারা করতে পারেন না। সেই কারণে আমি কমিটির লোকজনকে বলেছি, ইমামকে বাদ দিতে।’

লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম সমকালকে বলেন, ‘মসজিদের ইমাম উপজেলা থেকে নিয়োগ দেয় না, তাকে আমি বাদ দেওয়ার কে? এছাড়া আমি ইমাম কিংবা মুয়াজ্জিনকে পানিতে চুবাতে বলিনি, এটা অপপ্রচার।’ source : somokal