চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট অব্যহত
বাড়তি ভাড়াতেও যানবাহন মিলছে না, সিএনজি স্টেশনের সামনে দীর্ঘ সারি
- আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
জ্বালানিসংকটের কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংকট বেড়েছে। এক অটোরিকশায় এভাবেই যেতে হয়েছে যাত্রীদের। ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে
চট্টগ্রামে আজ রোববার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তবে ফিলিং স্টেশনে গ্যাসের চাপ আগের চেয়ে বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী সংকট কাটেনি। এতে আজও গণপরিবহন–সংকটের কারণে চাকরিজীবীদের ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে।
আজ সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, চাকরিজীবী নারী ও পুরুষেরা গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষায় আছেন। সড়কে যানবাহন ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কম। গ্যাসচালিত অটোরিকশা ছিল হাতে গোনা।
মূলত কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকায় দেশের পূর্বাঞ্চলে গ্যাস-বিপর্যয় ঘটে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার পর টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আংশিক সরবরাহ শুরু হয়েছে। এ কারণে আজও গ্যাসচালিত যানবাহনের সংকট থেকে গেছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদপুর মোড়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আশহাবুর রহমান। আগ্রাবাদ এলাকায় গন্তব্য তাঁর। প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাননি তিনি। একটি অটোরিকশার চালক বেশি ভাড়া দাবি করায় তিনি সেটিতে ওঠেননি। এ পথে সাধারণত ১০০ থেকে ১২০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু চালক চেয়েছেন ১৮০ টাকা।
কাপড় বিক্রেতা রাকিবুল ইসলামের গন্তব্য ছিল নগরের নিউমার্কেট এলাকা। এই পথের দূরত্ব প্রায় ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার। স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া দিতে হয় ১২০ টাকার মতো। কিন্তু রাকিবুল জানালেন, অটোরিকশাচালকেরা ২০০ টাকা ভাড়া দাবি করছেন। তিনি অবশ্য পরে ১৬০ টাকায় অটোরিকশা ঠিক করেছেন।
সকালে নগরের ২ নম্বর গেট মোড় ও এ কে খান এলাকায় গিয়েও চাকরিজীবীদের ভিড় দেখা যায়। গণপরিবহন–সংকটের কারণে অনেকেই আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন। কেউ যানবাহন না পেয়ে বাড়তি ভাড়ায় রিকশায় উঠছিলেন। এ কে খান এলাকায় রওনক ইসলাম নামের এক তরুণ বলেন, তিনি সকাল আটটার দিকে জিইসি এলাকা থেকে তিনটি রিকশায় ভেঙে ভেঙে এ কে খান এলাকায় এসেছেন। এই পথের দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার, খরচ হয়েছে ৩১০ টাকা।