হায়রে বেইলি রোড: তারকাদের ফেসবুক যেন শোক বই
- আপডেট সময় : ০২:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
এদিকে অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা বিচার চেয়ে লিখেছেন, ‘ফায়ার সার্ভিস বলছে বেইলি রোডের ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ৩ বার নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তাহলে কেন এমন হলো? কেন তিনবার নোটিশ দেয়ার পরও ভবনটির সংশ্লিষ্ট মানুষেরা আমলে নিলেন না? আপনাদের ব্যাবসার জন্যে? আপনাদের অনেক লবিং অনেক পাওয়ার , অনেক ক্ষমতা, আপনাদের কথায় কাজ হয়। এখন ক্ষমতা দেখিয়ে, লবিং করে একটু মৃত মানুষগুলোর প্রাণ ফিরিয়ে দেন। লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের, ধিক্কার জানাই।
ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাবিলা নূর সবার আত্নার শান্তি কামনা করে লিখেছেন, আল্লাহ, তুমি রহম করো। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করি।’
আরেক অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন, ‘মৃত্যু ছাড়া এই শহরের টনক নড়ে না ! আমাদের লোভের কাছে মানবিকতা বারবার হার মানে। আল্লাহ সহায় ! মানুষগুলোকে বেহেস্ত নসীব করুক।’
অভিনেত্রী মৌটুসি বিশ্বাস মৃত্যুপুরীর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমার কমন সেন্স থেকেই এই ভবনগুলিকে আইডেন্টিফাই করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখি না। এই দেশে মৃত্যুপুরী বানানো অপরাধ না। কায়দা করে নিজেরই বাঁচতে হয়।
ছোট পর্দার পরিচালক প্রবীর রায় চৌধুরী বলেছেন, ‘বেইলি রোডে আগুনে নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। এমন দিন যেন কাউকে দেখতে না হয় আর। ঈশ্বর আমাদের ক্ষমা করুক।
এদিকে আজ সকালে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকাহত হয়েছেন চলচ্চিত্র তারকা শাকিব খান। তিনি তার ফেসবুপ পেজে একটা দীর্ঘ লেখা লিখেছেন সেখানে তিনি বলেছেন, ‘গতরাতে বেইলি রোডে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগে সেখানে বেশিরভাগ মানুষ হয়ত গিয়েছিলেন তাদের প্রিয়জন নিয়ে আনন্দময় কিছু সময় ভাগাভাগি করতে। কেউ কেউ গিয়েছিলেন শপিং বা পরিবার পরিজন নিয়ে ফ্রি টাইমে খাওয়া-দাওয়া করতে। কিন্তু এক নিমিষেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থামিয়ে দিয়েছে এতোগুলো জ্বলজ্যান্ত জীবন। স্বজন হারিয়ে অনেকের ভবিষ্যৎ জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা! অনেকের তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে।’
শাকিব খান লিখেছেন, ‘কিছুদিন পরপর অগ্নিকাণ্ডের এতো এতো তরতাজা প্রাণ অকালে চলে যাওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি কোনোভাবে কাম্য নয়। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। আর জীবেনের ঝুঁকি নিয়ে যারা সবসময় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা মোকাবিলা করে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেইসব ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জানাই স্যালুন!’