প্রথম ইনিংসে ছয় ফিফটিতে শ্রীলঙ্কা ৫৩১ রান করেছিল। ওখানেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে তারা ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায়। ফলো অনে স্বাগতিকদের না পাঠিয়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালো জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট ছোঁয়া ছিল অসম্ভব। ৩১৮ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
৭ উইকেটে ২৬৮ রানে বুধবারের খেলা শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৪ ও তাইজুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। মিরাজ ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। তারপরই ভেঙে যায় ৩৮ রানের জুটি। তাইজুলকে কামিন্দু মেন্ডিস নিশান মাদুশকার ক্যাচ বানান। হাসান মাহুমদ ২৫ বলে ৬ রান করে থামেন লাহিরু কুমারার বলে। লঙ্কান পেসার তার চতুর্থ শিকার বানান খালেদ আহমেদকে। তাতেই প্রায় দুইশ রানের হার দেখতে হয় স্বাগতিকদের। মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ১১০ বলের ইনিংসে ছিল ১৪ চার।
শেষ ইনিংসে লাহিরু সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন। কামিন্দু পান তিনটি উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
হাসান মাহমুদ ২৫ বল খেলে ৬ রান করে আউট হলেন। লাহিরু কুমারার বলে বিদায় নিলেন তিনি। ক্যাচ দেন নিশান মাদুশকাকে। ৩১২ রানে ৯ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
মিরাজের হাফ সেঞ্চুরির পর তাইজুল আউট
দিনের প্রথম বাউন্ডারি মারলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পৌঁছে গেলেন হাফ সেঞ্চুরিতে। ৬২ বল খেলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। কামিন্দু মেন্ডিসের একই ওভারে দুই বল পর তাইজুল ইসলাম মাঠ ছাড়েন। ভেঙে যায় ৬২ বলে ৩৮ রানের জুটি। ২৮ বলে ১৪ রান করে গালির কাছে নিশান মাদুশকার ক্যাচ হন তাইজুল। ২৮১ রানে ৮ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের শেষ প্রতিরোধ
মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের প্রতিরোধ কতক্ষণ চলে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। তিন উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করেছে বাংলাদেশ। ৫১১ রানের লক্ষ্যে তারা ৭ উইকেটে ২৬৮ রানে তারা মাঠে নেমেছে।
মিরাজ ৪৪ ও তাইজুল ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।