ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ শর্তে আ’লীগ ও বিএনপিকে পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৮২ বার পড়া হয়েছে
NEWS396 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। তবে সমাবেশ করার জন্য দুই দলকেই ২০টি শর্ত দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার রাতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি জানান, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপিকে তাদের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মহিদ উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে সাতটি করে বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা যথাযথভাবে জানিয়েছে। সমাবেশ করার ক্ষেত্রে দল দুটিকে কয়টি শর্ত দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয় দলকে ২০টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই শর্তগুলোর মধ্যে নিজ নিজ দলের নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে যে ২০টি শর্ত দেওয়া হয়েছে তা ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে। দুই দলকে দেওয়া শর্তগুলো হলো: ১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। ২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ৪. দুপুর ১২টর আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না। ৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না। ৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে- এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। ১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে। ১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না। ১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না। ১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না। ১৪. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। ১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা বা রড সদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। ১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। ১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। ২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২০ শর্তে আ’লীগ ও বিএনপিকে পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি

আপডেট সময় : ১২:১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। তবে সমাবেশ করার জন্য দুই দলকেই ২০টি শর্ত দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার রাতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি জানান, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপিকে তাদের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মহিদ উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে সাতটি করে বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা যথাযথভাবে জানিয়েছে। সমাবেশ করার ক্ষেত্রে দল দুটিকে কয়টি শর্ত দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয় দলকে ২০টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই শর্তগুলোর মধ্যে নিজ নিজ দলের নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে যে ২০টি শর্ত দেওয়া হয়েছে তা ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে। দুই দলকে দেওয়া শর্তগুলো হলো: ১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। ২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ৪. দুপুর ১২টর আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না। ৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না। ৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে- এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। ১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে। ১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না। ১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না। ১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না। ১৪. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। ১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা বা রড সদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। ১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। ১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। ২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।