ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছিনতাই হওয়া জাহাজ উদ্ধার, জলদস্যুদের নেয়া হচ্ছে ভারতে

ডেক্স রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
NEWS396 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক ছিনতাই হওয়া জাহাজ সোমালিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধারের পর আটক ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে ভারতে নেওয়া হচ্ছে। আটক এই জলদস্যুদের ভারতে নেওয়ার পর তাদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা।

 

আটককৃত সোমালিয়ার জলদস্যুদেরসহ মাল্টার পতাকাবাহী ওই জাহাজটি আগামী শনিবার ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জলদস্যুদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে।’ জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, গত শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি জাহাজে থাকা ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে কমান্ডোরা। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সোকোত্রা থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে উত্তর আরব সাগরে মাল্টার ওই জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

২০১৭ সালের পর সোমালি জলদস্যুদের হাতে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল এটি। সোমালিয়ার জলদস্যুদের এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। ওই সময় সোমালি জলদস্যুদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার তাদের কাছে গিয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে।

জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চে পৌঁছানোর সেই সময় ভারতের নৌবাহিনী বড় ধরনের হামলায় জড়িত জলদস্যুদের বিচার ও কারাগারে বন্দি করতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী আটককৃত জলদস্যুদের সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ে জড়িত জলদস্যুদের বিচারের মাধ্যমে কয়েক বছর পর প্রথমবারের মতো আবারো জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত।

এদিকে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এডেন উপসাগর ও উত্তর আরব সাগরে কমপক্ষে এক ডজন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত। লোহিত সাগরের পূর্বে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে সহায়তা করছে ভারতের মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজ।

ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে ভারতের নৌবাহিনী তাদের বিমান ও অন্যান্য জাহাজ থেকে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করে অঞ্চলটিকে ‌‌নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি কার্যক্রমের আওতায় রেখেছে।’

গত ১২ মার্চ দুপুরের দিকে এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। একই সঙ্গে জাহাজের ২৩ নাবিককে আটকে রাখা হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটিকে বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করা হয়েছে। আজ বুধবার এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষের সঙ্গে সোমালিয়ার জলদস্যুদের যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তবে জলদস্যুদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি।

সূত্র: রয়টার্স।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছিনতাই হওয়া জাহাজ উদ্ধার, জলদস্যুদের নেয়া হচ্ছে ভারতে

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক ছিনতাই হওয়া জাহাজ সোমালিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধারের পর আটক ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে ভারতে নেওয়া হচ্ছে। আটক এই জলদস্যুদের ভারতে নেওয়ার পর তাদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা।

 

আটককৃত সোমালিয়ার জলদস্যুদেরসহ মাল্টার পতাকাবাহী ওই জাহাজটি আগামী শনিবার ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জলদস্যুদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে।’ জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, গত শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি জাহাজে থাকা ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে কমান্ডোরা। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সোকোত্রা থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে উত্তর আরব সাগরে মাল্টার ওই জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

২০১৭ সালের পর সোমালি জলদস্যুদের হাতে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল এটি। সোমালিয়ার জলদস্যুদের এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। ওই সময় সোমালি জলদস্যুদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার তাদের কাছে গিয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে।

জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চে পৌঁছানোর সেই সময় ভারতের নৌবাহিনী বড় ধরনের হামলায় জড়িত জলদস্যুদের বিচার ও কারাগারে বন্দি করতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী আটককৃত জলদস্যুদের সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ে জড়িত জলদস্যুদের বিচারের মাধ্যমে কয়েক বছর পর প্রথমবারের মতো আবারো জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত।

এদিকে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এডেন উপসাগর ও উত্তর আরব সাগরে কমপক্ষে এক ডজন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত। লোহিত সাগরের পূর্বে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে সহায়তা করছে ভারতের মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজ।

ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে ভারতের নৌবাহিনী তাদের বিমান ও অন্যান্য জাহাজ থেকে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করে অঞ্চলটিকে ‌‌নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি কার্যক্রমের আওতায় রেখেছে।’

গত ১২ মার্চ দুপুরের দিকে এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। একই সঙ্গে জাহাজের ২৩ নাবিককে আটকে রাখা হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটিকে বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করা হয়েছে। আজ বুধবার এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষের সঙ্গে সোমালিয়ার জলদস্যুদের যোগাযোগ শুরু হয়েছে। তবে জলদস্যুদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি।

সূত্র: রয়টার্স।